শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ
৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ | 48
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:৫৪ অপরাহ্ণ | 48

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছে ঢাকায় সফররত কমনওয়েলথ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টা থেকে রাত পৌনে ৭টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ১০ সদস্যের কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী অরিতি ব্রুস গোল্ডিং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো কিছু জানাননি তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলকে নির্বাচন বয়কটের কারণ জানিয়েছে বিএনপি। প্রতিনিধি দলকে দলটির নেতারা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারা আরও বলেন, সরকার যে বিরোধী দলবিহীন একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেটা কোনো নির্বাচন নয়, নির্বাচনের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের কিছু তথ্য-প্রমাণও দেওয়া হয়।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি নেতারা বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও আরেকটি সাজানো, পাতানো ও আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যাকেই ভোট দেওয়া হবে, তিনি হয় নৌকার প্রার্থী, না হয় ডামি প্রার্থী, না হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অন্য দলগুলোও সরকারের সাথে সমঝোতা করে নির্বাচন করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো একতরফা ভোট বর্জন করায় মূলত বিদেশিদের চাপে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে প্রায় প্রতিটি আসনে নৌকার পাশাপাশি দলের লোকদের এই ডামি, স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী সংসদে বিরোধী দল নির্ধারণ করতেই একতরফা, ভাগ-বাটোয়ারার এই নির্বাচন করছে সরকার। কিন্তু জনগণ এই একতরফা নির্বাচন ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। সে কারণে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড জব্দ করা হচ্ছে বলেও প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে বিএনপি।

বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা কে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া সম্প্রতি সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিভিন্ন ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকে। দলটির দাবি, জনসম্পৃক্ত চলমান আন্দোলন নস্যাৎ করতে সরকারি মদদে বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর তার দায় চাপানো হচ্ছে।

বৈঠকে গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউন, নির্বিচারে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার এবং গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে দলটি।

 

error: Content is protected !!