সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহতকারী কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দিবেন না : শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি দেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় না দেওয়ার ও আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, “আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এমন কোন উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না।” আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই আহ্বান জানান।
ভাষনে তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করার জন্য তার দলের লক্ষ্য তুলে ধরেন এবং অতীতের ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার এবং পুনরায় নির্বাচিত হলে সেই ভুলগুলো শোধরানোর একটি সুযোগ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই দীর্ঘ চলার পথে যতটুকু অর্জন, তার সবটুকুই আপনাদের অবদান। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এ অর্জন করা সম্ভব হতো না। চলার পথে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন- এটাই আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলি শোধরাবার সুযোগ পাব। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জাতির পিতার কন্যা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য। আমি বাবা, মা, ভাই সব হারিয়ে দুঃখ-বেদনাকে সম্বল করে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের মাঝে খুঁজে পেয়েছি- আমার বাবার স্নেহ, মায়ের মমতা এবং ভাইয়ের মায়া। আপনারাই আমার পরিবার, আমার উপর ভরসা রাখুন। আসুন, সকলে মিলে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন পূরণ করি। তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগ লীগ সরকার গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জনকল্যাণমুখী ও সুসমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি সমতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণের পথে জাতিকে অগ্রসরমান রেখেছে। ইতোমধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি টেকসই ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার যে সুযোগ পাওয়া যাবে, তা কার্যকর করা এবং যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মোকাবিলা করতে পারবে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি”। তিনি বলেন, সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ সমাজ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।
সম্পর্কিত খবর
সর্বশেষ
- মহিমাগঞ্জে ডিগ্রি কলেজের নব নির্বাচিত সভাপতি ও বিদুৎসাহী সদস্য এর শিক্ষক কর্মচারী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময়
- ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার অবদান ভুলে যেতে বসেছে গংগাচড়া থানা পুলিশ
- সাতক্ষীরায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩ উদ্ধার করা হয়েছে ৩ মোটর সাইকেল
- পটিয়ায় মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, ডিবির হাতে যুবক গ্রেপ্তার
- সাঘাটায় বিএনপির সাবেক এমপি মরহুম মতিউর রহমান টুকুর ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন
- পুলিশ কর্মকর্তা লুৎফুর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত
- নতুন বছরে আসছে ভিন্ন ধরনের প্রেমের গল্প আন্ত:নগর
- তাড়াশে মারুফ হাসান নামের অপহৃত এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- নিয়তির নিমজ্জিত বিধাতার বিধান
- আজ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
- 💕💕মাতা-পিতার মৃত্যুর পর সন্তানের করণীয়❤❤
- জয়পুরহাটে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের মূল নির্ধারণ