নাশকতার শঙ্কায় পাঁচজোড়া ট্রেন বন্ধ, নিরাপত্তায় ২৭০০ আনসার
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শফিকুর রহমান।
বন্ধ করা ট্রেনগুলো হচ্ছে- ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূঁয়াপুর, জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ি একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেন, উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী রহনপুরগামী লোকাল ট্রেন।
শফিকুর রহমান বলেন, এগুলো রিমোট এরিয়া। রাত্রিকালীন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় আমরা বন্ধ করেছি।
এছাড়া সারাদেশে রেলের নিরাপত্তায় দুই হাজার ৭০০ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নাশকতার ধরন যেহেতু পরিবর্তন হয়েছে, সেজন্য আমরা দুই হাজার ৭০০ আনসার সদস্য পেয়েছি। অলরেডি তারা মোতায়েন আছেন। আনসার, রেলওয়ে পুলিশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) অধীনে নিয়োগ করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আরও বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নাশকতার ফলে আমরা ট্র্যাক পেট্রোলিং করছি। সেই সেই সঙ্গে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্থাপনাগুলো দেখছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নিরাপত্তার বিষয় দেখছে রেলওয়ে পুলিশ। এর আগে ২০১৪ সাল আমরা আনসার বাহিনীর মাধ্যমে ট্রাক পেট্রোলিং করেছিলাম। এজন্য এ বছরও রেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত ট্রেনগুলো রাতে যাত্রা করে। আমরা নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এজন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ ট্রেন করতে যা যা করার দরকার অমরা মিটিং করে সেটি করছি।
তিনি আরও বলেন, এখন পাইলটিং করার জন্য আগে একটি ট্রেন পাঠানো হবে। পরে মূল ট্রেন যাবে। আর বন্ধ হওয়া ট্রেনের ইঞ্জিন ও জনবলগুলো আন্তঃনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ততই বাড়ছে বাস ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনা। গত মঙ্গলবার আগুন দেয়া হয় ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে। তিনটি বগিতে লাগা আগুনে মারা যান মা ও শিশুসহ চার জন।
একইদিন চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেনের একটি বগিতে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় ট্রেনের একটি বগির গ্লাস ভেঙে গেছে।
এর আগে, ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় একজন নিহত হন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটের উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটের এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে।
ঈশ্বরদী-রাজশাহী-রোহনপুর রুটের ১ জোড়া লোকাল ট্রেন ১৫ ডিসেম্বর থেকে এবং ময়মনসিংহ থেকে ভূঁয়াপুর চলাচলকারী ২৫৩/২৫৪ লোকাল ট্রেনটি ১৫ ডিসেম্বর বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে। এছাড়া ঢাকা-তারাকান্দা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট সংক্ষিপ্ত করেছে রেলওয়ে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে তারাকান্দার পরিবর্তে ট্রেনটি জামালপুর পর্যন্ত চালানো হচ্ছে।
এদিকে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহদাত আলী কালবেলাকে বলেন, নিরাপত্তা জনিত কারণে কিছু ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ট্রেনগুলো যথাসময়ে চলাচল করবে।
সম্পর্কিত খবর
সর্বশেষ
- নওগাঁ ১১ টি উপজেলায় ভাদ্র মাসে প্রচন্ডগরমে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ
- মুন্সীগঞ্জে থানায় আগুন লুটপাটের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে : পুলিশ সুপার
- মুন্সীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপব্যবহার কর্মকাণ্ডের শীর্ষ মহিউদ্দিন সন্ত্রাসীর কারিগর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে এসপির মতবিনিময়
- বিলাইছড়িতে লাইভ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন
- নওগাঁয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার নিশ্চিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত
- নতুন বছরে আসছে ভিন্ন ধরনের প্রেমের গল্প আন্ত:নগর
- তাড়াশে মারুফ হাসান নামের অপহৃত এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- নিয়তির নিমজ্জিত বিধাতার বিধান
- আজ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
- 💕💕মাতা-পিতার মৃত্যুর পর সন্তানের করণীয়❤❤
- জয়পুরহাটে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের মূল নির্ধারণ