শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে নিহত জিয়ার হোসেনের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ণ | 150
প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে নিহত জিয়ার হোসেনের  পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ণ | 150

 

শেখ নাসির,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারে প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে নিহত জিয়ার হোসেনের (৪৫) পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া মোড়ে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রিনা খাতুনের হাতে টাকা তুলে দেন তিনি। এ ছাড়াও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে জিয়ার পরিবারকে সাহায্য ও সহযোগীতার আশ্বাস দেন সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। জিয়ার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের মৃত কেঁদো শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। এ সময় নিহত জিয়ার স্ত্রী রিনা খাতুন ও স্বজনরা সংসদ সদস্যের কাছে জিয়া হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

টাকা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা জিয়াদুল ইসলাম মিলন, জিয়া হত্যা মামলার বাদী ইয়ারুল আলীসহ প্রমূখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সাথে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মানদীতে মাছ ধরা, যেকোন নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ জানুয়ারি সকালে বেড় কালোয়ারা মোড়ে দু’পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। তার মধ্যে জিয়ার গত ১৬ জানুয়ারি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় গত ১৩ জানুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল হোসেন। এর আগে ২০২১ সালে একই স্থানে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সে সংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। মামলার বাদী ইয়ারুল জানান, ঘটনা যেভাবেই ঘটুক তিনি সুষ্ঠু বিচার চান। তিনি আরো কোনো সংঘর্ষ চান না। তাঁর ভাষ্য, সংসদ সদস্য আজ তাঁর ভাইয়ের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। তিনি এলাকায় শান্তির জন্য সংসদ সদস্যের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে চান। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা জিয়াউল হক স্বপন জানান, আধিপত্য বিস্তার ও নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরেই প্রতিপক্ষের আঘাতে জিয়ার নির্মম মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। জিয়া হত্যার তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ জানান, অপরাধীরা যেদলেরই সমর্থক হোক, তাঁদের দেশের আইনে বিচার হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার যাতে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য নগদ দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে আরো সাহায্য সহযোগীতা করা হবে। তাঁর বেড় কালোয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন দু’পক্ষের বিরোধ চলছে। এলাকায় শান্তি ফিরাতে খুব অচিরেই উভয়পক্ষ্যকে নিয়ে শান্তি সমাবেশ করা হবে।

error: Content is protected !!