শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

জন্মদিন পালনের উদ্ভব ঘটেছে ফিরাউন থেকে, ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই :শেখ নাসির

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:১৭ অপরাহ্ণ | 52
জন্মদিন পালনের উদ্ভব ঘটেছে ফিরাউন থেকে, ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই  :শেখ নাসির
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:১৭ অপরাহ্ণ | 52

 

শেখ নাসির কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

আজকে কুমারখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক,কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের, সদস্য, শেখ নাসির এর ০৩ ফেব্রুয়ারী ২৪ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে, তিনি জানান জন্মদিন’ পালনের প্রবণতা একটু বেশিই যেন। ধনী হোক আর গরিব হোক, জন্মের দিনটা ঘটা করে পালন না করলে যেন মনে শান্তি আসে না। কেবল মানুষ নয়, কিছু বিত্তশালী পোষা কুকুরটিরও জন্মদিন পালন করেন! এদিন তারা নানা আয়োজন করে বন্ধু-বান্ধবকে নিমন্ত্রণ করে, আনন্দ-উল্লাস করেন, মদ্যপান করেন, নর্তকি নাচিয়ে ফুর্তি করে দিন কাটান।

কেক কেটে জন্মদিন পালনের উদ্ভব হয় পশ্চিমা দেশগুলোতে। আর জন্মদিনের সূচনা হয় ফিরাউন থেকে। বাইবেলের বুক অব জেনেসিসে এসেছে, ‘তৃতীয় দিনটা ছিল ফিরাউনের জন্মদিন। ফিরাউন তার সব দাসদের জন্য ভোজের আয়োজন করলেন। সেই সময় ফিরাউন রুটিওয়ালা ও খাদ্যদ্রব্য পরিবেশককে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন।’ (আদি পুস্তক : ৪০২)

সুতরাং বুঝা গেল, জন্মদিন পালনের উদ্ভব ঘটেছে ফিরাউন থেকে। ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই।

জন্মদিন পালনের গুরুত্ব যদি ইসলামে থাকত, তা হলে সাহাবায়ে কেরাম (রা.), তাবেয়ি, তাবে তাবেইনদের থেকে এটি পালনের প্রমাণ মিলত। তারা জন্মদিন পালন করবেন তো দূরের কথা, কারও কারও জন্মসন জানা গেলেও কোন মাসের কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তা অবধি জানা যায়নি।

এমনকি আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রবিউল আওয়াল মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা নিয়েও রয়েছে মতভেদ। বিধায় জন্মদিন পালন নিঃসন্দেহে একটি অপকর্ম। এদিন ফেসবুকে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো, আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধব জমায়েত হয়ে উৎসব করা, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, বিশেষ দোয়া, সালাম বা উপহার পেশ করা, বয়স অনুপাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে তা ফুঁ দিয়ে নেভানো, কেক কেটে খাওয়া প্রভৃতি কাজ এসব অপচয় কোনো ধার্মিকের হতে পারে না।

হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির অনুসরণ করবে বিঘত-বিঘত এবং হাত-হাতের সমপরিমাণ। এমনকি তারা যদি সাপের গর্তে প্রবেশ করে, তা হলে তোমরাও তাদের পেছন পেছন যাবে।’ সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি ইহুদি ও নাসারাদের অনুকরণ করার কথা বলছেন?’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘তবে আর কার?’ (বুখারি : ২৬৬৯)

অন্য একটি হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির নমুনা অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই দলভুক্ত।’ (সহিহুল জামে : ৬০২৫)

নবী করিম (সা.) আরও বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছেড়ে অন্য কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদিদের সাদৃশ্য অবলম্বন কর না, খ্রিস্টানদেরও সাদৃশ্য অবলম্বন কর না।’ (সিলসিলাহ সহিহা : ২১৯৪)

আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারও অনুসরণ কর না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।’ (সূরা আরাফ : ৩)

তা ছাড়া জন্মদিনে খুশি হয়ে আনন্দ-উৎসব করা নেহায়েতই বোকামি। কেননা, জীবন থেকে একটি বছর ঝরে গেলে তার জন্য আক্ষেপ ও দুঃখ করা উচিত, খুশি নয়। আল্লাহতায়ালা আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন। আমিন।

error: Content is protected !!