সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো!

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ
৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | 45
যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো!
৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | 45

ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবার প্রয়োজন হয় , তেমনি নারী পুরুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হলে তাদের যৌন চাহিদা সৃষ্টি হয় ৷

এটা আল্লাহর একটি সৃষ্টি। তাই প্রতিটি ছেলে মেয়ের উপযুক্ত বয়সে বিবাহ হওয়াটাই শ্রেয়।

কিন্তু আমাদের সমাজে পড়াশোনার নামে , ক্যারিয়ার গড়ার নামে উপযুক্ত সময় থেকে অনেক পরে ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয়।
ফলে যৌন চাহিদার বর্শবর্তি হয়ে যেনা ব্যভিচারে পা বাড়ায় যুবক যুবতীরা ৷

আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ৷ কারণ আপনি যদি একটি বিড়াল পালেন , আর তাকে খেতে না দেন তাহলে সুযোগ পেলেই বিড়াল আপনার হাড়ির খাবার চুরি করবে ৷

অভিভাবকরা ইচ্ছে করেই ছেলেমেয়ের বিয়ে দেরীতে দিচ্ছে , সুতরাং যেনা তো হবেই ৷ আপনার মেয়ে অন্য ছেলের সাথে তো পালাবেই ৷ এটা আপনারই কর্মফল ৷

সরকারি বিধান মোতাবেকও যদি একজন নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর হয় তারপরও অনেক অভিভাবকেরা ছেলের বয়স নিয়ে গেছে ৩০/৩৫ এ এবং মেয়ের বয়স নিয়ে গেছে ২৫/২৮ এ ৷

অথচ ইসলামিক রাষ্ট্রে ছেলে মেয়েদের এত দেরীতে বিবাহ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই ৷

অভিভাবকের কাছে এখন বিবাহ হয়ে গেছে কঠিন তাই যেনা হয়েছে সহজ ৷
এর জন্য এই সমস্ত সহীহ দ্বীনহীন অভিভাবকরাই দায়ী!

আল্লাহ্ প্রতিজ্ঞাও করেছেন “ বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।”

তবুও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খোজাটা মূলত আল্লাহ্’র উপর অনির্ভরশীলতা’র ইঙ্গিত।

আমি তো মনে করি,

“একটা ভালো চাকুরী’র পূর্বশর্তই হচ্ছে “বিয়ে”।

কেননা, তখন তাকে রিজিক প্রদান করার দায়িত্ব স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে নেন।

পড়ুন সেই মহাপবিত্র আয়াতে কারীমা…

” ﻭﺃﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﻳﺎﻣﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻭ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻴﻦ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻛﻢ ﻭ ﺇﻣﺎﺋﻜﻢ ﺇﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻓﻘﺮﺍﺀ ﻳﻐﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ “

(তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন)
– সূরা নুর। আয়াতঃ ৩২।

.অবশ্য উক্ত আয়াতে বিবাহহীনদের অবিভাবকদেরকেই আল্লাহ্ এ আদেশ করেছেন। কেননা আল্লাহ্ জানেন, অবিভাবকেরা কি সব চিন্তা করেন।

অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে কেউ বিয়ে করতে চাওয়া সামাজিকভাবে খারাপ চোখে দেখা হয়।
আমাদের সমাজে কেউ কারো বিয়ের কথা শুনলে মানুষ এতাটাই অবাক হয় যে অবৈধভাবে প্রেম ভালোবাসা যেনা করলেও এতোটা অবাক হয়না।
বিষয়টা এখন সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে গেছে।