শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

চট্রগ্রামের নগরী আকবর শাহ্ হোটেল রয়েল টাইম আবাসিকে দিনে দুপুরে চলছে মাদক জুয়া সহ দেহ ব্যবসা

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজু আহমেদ 
১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | 47
চট্রগ্রামের নগরী আকবর শাহ্ হোটেল রয়েল টাইম আবাসিকে দিনে দুপুরে চলছে মাদক জুয়া সহ দেহ ব্যবসা
১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ | 47

চট্রগ্রামের নগরী আকবর শাহ্ থানাধীন হোটেল রয়েল টাইম আবাসিকে দিনে দুপুরে চলছে মাদক জুয়া সহ রমরমা দেহ ব্যবসা। বহিরাগত মেয়ে এনে হোটেলে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত করছেন হোটেলের ম্যানেজার সানি

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় হোটেলটির মালিক জমির উদ্দিন মাসুদ দীর্ঘদিন যাবত হোটেলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন রাত হলেই হোটেলে জমে উঠে মদ জুয়া ও মেয়ের আড্ডা। আলাদা আলাদা রুম বর্ডারে পতিতাদের দিয়ে করানো হচ্ছে যৌন ব্যবসা। এছাড়াও রাত যত গভীর হয় হোটেলে জমে উঠে জুয়ার আসর আলাদা রুম ভাড়া করে জুয়ারীরা সেখানে জুয়া খেলা সহ করছে মাদক সেবনও ,সরকার পতনের পরও থেকে নেই মদ জুয়া ও দেহ ব্যবসার বাণিজ্য।

হোটেল ম্যানেজার দাবি করেন হোটেলটি বর্তমানে মালিক

পরিবর্তন হয়েছে মাসুদ এখন নেই হোটেলটি পরিচালনা করছেন কোন এক প্রবাসী তবে তার বিষয়ে কোনো সঠিক

তথ্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় হোটেলের মালিক আগে যে ছিল সেই আছে এবং হোটেলের স্টাফ অকপটে স্বীকার করেন হোটেলটির বর্তমান মালিক জমির উদ্দিন মাসুদ নিজেই। এ বিষয়ে হোটেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার সানি অস্বীকার করে বলেন হোটেলের মালিক জমির উদ্দিন মাসুদ নয় হোটেলের মালিক বাইরে থাকেন এবং তিনি একজন প্রবাসী বাইরে থেকেই নাকি হোটেল পরিচালনা করছেন তিনি। হোটেলের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায়

মদ জুয়া ও দেহ ব্যবসা ছাড়াও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হোটেলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও আনাগোনা রয়েছে। হোটেল নীতিমালায় বিধি-নিষেধ না মেনে অপাপ্ত বয়সের যুবক-যুবতীদের রুম ভাড়া দিচ্ছে হোটেলটি। যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যতীত আপাপ্তবয়স্কদের রুম ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর বিধি নিষেধ রয়েছে তবে কোন ধরনের বিধি নিষেধ মানছেন না হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ।

এ যেন অবাধে মেলামেশা ও যৌনাচার করার জন্য নিরাপদ স্থান। অপ্রাপ্তবয়স্কদের রুম ভাড়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের রেজিস্টার মেন্টেন করেন না হোটেল কর্তৃপক্ষ। থানায় রিপোর্ট প্রধানের ক্ষেত্রে ভুলভাল তথ্য দিয়ে রিপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে অপাপ্তবয়স্কদের রুম ভাড়া দিয়ে রেজিস্টারে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বয়স এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের রুম ভাড়া দিয়ে সম্পর্কে জায়গায় দেখানো হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়েই অপাপ্তবয়স্কদের অনৈতিক সম্পর্কে সুযোগ করে দিচ্ছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে হোটেলের মালিক জমির উদ্দিন মাসুদের কে একাধিক বার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

হোটেল রয়েল টাইম এর অসামাজিক কর্মকান্ডের বিষয়ে আকবর শাহ্ থানার ভারপ্রাপ্ত রোজিনা খাতুন কে অবগত

করা হলে তিনি বলেন,আমাদের অভিযান প্রতিনিয়ত চলমান আছে যদি এ ধরনের তথ্য থাকে নিউজ করেন আমরা ব্যবস্থা নিব অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা কোথায়।

উক্ত হোটেলের অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না গেলে অচিরেই তরুণ সমাজ অধঃপতনের দিকে ধাবিত হবে বলে দাবি করছেন এলাকার সচেতন নাগরিকেরা।