শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

নাটোর থেকে মোঃ সাহাবুল আলম

বড়াই গ্রামে গ্রামবাংলার শীতের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ নাটোর থেকে মোঃ সাহাবুল আলম
১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:১২ অপরাহ্ণ | 62
বড়াই গ্রামে গ্রামবাংলার শীতের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে
১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:১২ অপরাহ্ণ | 62

বড়াইগ্রাম গ্রামবাংলার শীতের আলাদাঐতিহ্য রয়েছে আর সেই ঐতিহ্য পিঠাপুলির। শীত এলেই পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সেই পিঠাপুলির মধুর ঘ্রাণেই মুখরিত এখন বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । সোমবার সকাল ৯ টায় বড়াইগ্রাম উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স এর হলরুমে শুরু আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো পিঠা উৎসব।বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী , সিএইচসিপি সহ সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শীতের পিঠা উৎসবে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

সকালে বর্ণিল বেলুন আর রংবেরঙের আলোকসজ্জার সজ্জিত করে সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কে গোলাপ ফুলের একটি করে স্টিক দিয়ে শীতের এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তা ডা.মোঃখুরশীদ আলম, এবং ডা. সুপ্তি গোমেজ(এম ও এম সি এইচ এফপি),ডা.ডলি রানী বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রামীণ সংস্কৃতির পিঠাপুলি। নাগরিক জীবনে যখন সবকিছু যান্ত্রিকতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ছে, সীমিত হয়ে পড়ছে আমাদের মানবিক বোধ তখন আমাদের সেই গ্রামীণ সংস্কৃতির অনন্য এই উপাদান নিয়ে শুরু হল পিঠা উৎসব।

ডা.মোক্তার হোসেন এমওডিসি বলেন পিঠা উৎসব গ্রামীণ সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতির প্রধান জায়গা। সেই গ্রামীণ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান পিঠাপুলি। এ পিঠাপুলি নিয়ে যাতে প্রতি বছর এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এর জন্য আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে দিতে হবে আমাদের উৎসব শীতের এই পিঠাপুলি উৎসব আমাদের শেকড়ের সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। এটা শুধু একটি উৎসব নয়, এটা নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার মাঝে নির্মল আনন্দের খোরাকও। নাগরিক ও ভোগবাদী সমাজের সংস্কৃতিতে এই উৎসব আবহমান বাংলার সংস্কৃতির চিরন্তন উপাদান তুলে ধরার এ আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা যায়, পিঠার নানা রকমের রংবেরঙের বাহারি পিঠার জমকালো আয়োজন ছিল বড়াইগ্রাম উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স হল রুমে। বেশিরভাগ তৈরিকৃত আগ্রহের পিঠা ছিল মিষ্টি জাতীয়। তবে ঝাল-টক পিঠাতেও ছিল না অরুচি। উৎসবের নানা পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়ে ছিলেন সকল স্বাস্থ্য কর্মীরা । যার মধ্যে ছিল- ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, মেড়া পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, ক্ষীরকুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছিট পিঠা, পানতোয়া, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, বিবিখানা, চুটকি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, সূর্যমুখী পিঠা, ফুল পিঠা, বিবিয়ানা পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি, দুধরাজ, ফুলঝুরি পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিটাপুলী। শীতের এই পিঠাপলীর উৎসব সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলমান ছিল।

error: Content is protected !!