শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

অর্থ বাণিজ্য

রমজানের আগেই বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ অর্থ বাণিজ্য
৩ মার্চ, ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ণ | 315
রমজানের আগেই বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম
৩ মার্চ, ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ণ | 315

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেয়া হলেও আমাদের দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান আসার আগেই বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সব মিলিয়ে বাজারে যেন বাড়তি দামের ছোঁয়া লেগেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি পণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। গরুর মাংস কিছু দিন কম দামে বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাক। শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়।
এছাড়া বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে বাজার করেতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী তৌহিদুর রহমান বলেন, অন্যান্য দেশে রমজান এলে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়। ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার কোথাও স্বস্তি নেই। সব কিছুই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, গরুর মাংসও ফিরে গেছে আগের বাড়তি দামে। এছাড়া, সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে।
মোহাম্মদপুর বাজারের মাংস বিক্রেতা সোহরাব মিয়া বলেন, রমজানের আগে এর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে, এরপর আর দাম কমেনি।

error: Content is protected !!