শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
Live TV
সর্বশেষ

মোরেলগঞ্জ, সহ ৬ টি উপজেলার ৪ হাজার রোগীকে চক্ষু শিবিরের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান।

দৈনিক দ্বীনের আলোঃ
১৭ মে, ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ণ | 51
মোরেলগঞ্জ, সহ ৬ টি উপজেলার ৪ হাজার রোগীকে চক্ষু শিবিরের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান।
১৭ মে, ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ণ | 51

মোঃনাজমুল মেরেলগঞ্জ প্রতিনিধি।।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেলেন মোরেলগঞ্জ, সহ ৬ টি উপজেলার ৪ হাজারের বেশি চক্ষু রোগী।শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ড. ফরিদুল ইসলামের বাড়ীর ওপর বড়দিয়া হাজী আরিফ (রহ:) মাদ্রাসার মাঠে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাব এর উদ্যোগে এবং দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) এর সার্বিক সহযোগিতায় সম্পুর্ণ বিনামুল্যে ৪ টি বুথের মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে এ চক্ষু রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।এসময় সেবা নিতে আসা রেগীদের বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দেয়ার পর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে তারা এখন চোখে আলো দেখতে পাচ্ছেন।এ চক্ষু শিবিরে মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, শরনখোলা, আশপাশের উপজেলার প্রায় ৪ হাজারের বেশি রোগীকে উপস্থিত হয়ে সেবা নিতে দেখা যায়।জানা গেছে, সেবা দেয়া এই চক্ষু শিবির থেকে ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের জন্য প্রাথমিক ভাবে রোগীকে বাঁছাই করা হয়।পরে বাঁছাইকৃত রোগীদের মধ্য থেকে ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় রোগীকে ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার এর মাধ্যমে বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দিয়ে সম্পুর্ণ সুস্থ্য করে তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দেয়া হয়।এ বিষয়ে,লায়ন ড. ফরিদুল ইসলাম জানান,আজকের ক্যাম্পে যেসব রোগীদের অস্ত্রোপচার দরকার- তাদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। ওইসব রোগীকে ‘ঢাকা দৃষ্টি আই’ হাসপাতালে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করানো হবে। তাদের আসা-যাওয়াসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যয়ভার বহন করবে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাব।এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সুবিধা বঞ্ছিত মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে চক্ষু শিবির আয়োজন করে আসছি। এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশী চক্ষু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৫ হাজার ৭ শতাধিক রোগীর ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য ও অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।তাছাড়া আমার জীবনবোধের চিন্তাভাবনা থেকে এই সেবামূলক কার্যক্রম করছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীতে যখন এসেছি, একদিন আমাকে চলে যেতে হবে। পরকালে আমার প্রত্যেকটা কাজের হিসেব দিতে হবে। তাই হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়ে একটু সেবামূলক কার্যক্রম করছি। চোখে কম দেখাসহ অনেকের চোখে সমস্যা রয়েছে কিন্তু তাঁরা বুঝতেও পারেন না চোখে সমস্যা আছে। এমন মানুষদের চোখকে সুস্থ রেখে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।এদিকে সেবা প্রাপ্ত এসব শিশু ছাত্ররা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে, কর্মক্ষম রোগীরা তাদের সংসারে আয়-রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে এছাড়াও বৃদ্ধরাও আমৃত্যু চোখের আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন বলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অনেকে।

error: Content is protected !!