বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর ফলাও করে প্রচার করছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, আল জাজিরা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এএফপি ও ভয়েজ অব আমেরিকা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো জয়ী হতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে তার দল আওয়ামী লীগ পঞ্চমবার ক্ষমতায় আসছে।
গত বছর থেকেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যাকে আন্তর্জাতিক বেল আউট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।
> বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই নির্বাচন বয়টক করেছে। র্নিদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
> নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে। এতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রেও আগুন দেয়া হয়েছে।
> বাংলাদেশে ১২ কোটি ভোটারদের মধ্যে অর্ধেক ভোটারই নারী। এছাড়া দেশটিতে নতুন করে ভোট দেবেন ১৫ লাখ মানুষ।
> ৩০০ আসনে প্রায় ২ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে ৫.১ শতাংশ নারী রয়েছেন। বিগত নির্বাচনের তুলনায় যা রেকর্ড সংখ্যা।
> এই নির্বাচনে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০০১ সালের পর যা সর্বোচ্চ। বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে ডামি প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছে। তবে বিএনপির এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।
নির্বাচনের দিন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ৮ হাজার পুলিশ এবং আধা সামারিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া এদিন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে থাকবেন।
> নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১২৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষণ কাজ করবেন। এছাড়া নির্বাচনের খবর সংগ্রহের জন্য ৫৯ জন বিদেশি সাংবাদিককে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বয়কট এবং পশ্চিমা দেশের চাপের মধ্যেই বাংলাদেশে রোববার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগেই ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি।