(মো ইপাজ খাঁ মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি)
আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমি দিনে দিনে মরণের দিকে যাইতেছি। যেভাবে পারো আমাকে দেশে ফিরিয়ে নাও। দালাল আমাকে দোজখের মধ্যে পাঠাইছে।
আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।
পরিবারের কাছে করা এক ভিডিও কলে এভাবেই বাঁচার আকুতি জানান সৌদি প্রবাসী এক বাংলাদেশী তরুণী (২৫)ওই তরুণীর বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুই মাস আগে স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরবের দাম্মামে যান তিনি দাম্মাম শহরে একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ নেন।
কাজ নেওয়ার পর থেকেই ভয়াবহ নির্যাতন হওয়ার কথা জানান তিনি।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান পার্শ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের লিটন দাশ সৌদি আরব পাঠানোর প্রস্তাব দেন।
সেখানে গেলে ভালো বেতন এবং ভালো পরিবেশ কাজ করার সুযোগ পাবে বলে জানান তিনি। তার কথা বিশ্বাস করে এক লক্ষ টাকা দিয়ে স্ত্রীকে বিদেশ পাঠানো হয় সেখানে দাম্মাম শহরে এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দেওয়া হয় তবে ওই পরিবার এখন তার ওপর। শারীরিক মানসিক নির্যাতন চলছে।
পাঁচদিন আগে ভিডিও কলে তিনি জানান। রাত দিন তাকে কাজ করতে হয়।
ভালো কিছু খেতেও দেওয়া হয় না।
প্রতিদিন তার ওপর চলে পার্শ্ববিক নির্যাতন করা হয়।ঘরের ভিতর বন্দি অবস্থায় রয়েছেন তিনি।
এদিকে সৌদিতে ওই তরুণী লিটন দাসকে জানালে বলেন।
তিন লক্ষ টাকা দিলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান সৌদিতে ভুক্তভোগী তরুণী মানবেতর। জীবনযাপন করছেন বলে ফোনে জানিয়েছেন। তার পরিবার খুবই গরীব এবং অসহায়।
সংসারের অভাব গোছাতে গিয়ে এখন আরো সমস্যার মধ্যে পড়েছে পরিবারটি।
তাকে সরকারের সাহায্যে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সাহায্য চান স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।