মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী
ইউ এ ই প্রতিনিধি
সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই পৌঁছাতে ৬ থেকে ৭ দিন লাগতে পারে। দুবাই পৌছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর মাল খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।
তখন জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক চাইলে জাহাজ চালিয়ে চট্টগ্রামে আসতে পারে অথবা তারা যদি বিমানে করে দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসতে চায় সেই সুযোগও দেয়া হবে। এসবের সবই নির্ভর করছে নাবিকদের ইচ্ছের উপর। এমনটাই জানিয়েছেন কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম।
আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ৯টায় এক প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম বলেন, সোমালিয়া থেকে মুক্তির পর জাহাজটি দুবাই বন্দরে যাচ্ছে। আর সেখানে পৌঁছতে ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে।
ওখানে পৌঁছার পর ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসে কি পরিমান সময় লাগবে।
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় তিন থেকে চারদিন সময় লাগবে কয়লা খালাসে।
নাবিকরা কি দুবাই থেকে বিমানে করে চট্টগ্রামে আসবে।এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। জাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রামে ফিরে আসবে। সেক্ষেত্রে নাবিকরা সম্মতি থাকলে তারা জাহাজটি চালিয়ে নিয়ে আসতে পারে।
চট্টগ্রামে আসতে কি পরিমাণ সময় লাগতে পারে।এই প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন মেহেরুল করিম বলেন,দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসতে প্রায় সাত দিন সময় লাগে। এর সবই নির্ভর করছে নাবিকদের ইচ্ছের উপর। নাবিকরা নিজে জাহাজ চালিয়ে এলে আমাদের বিকল্প টিম পাঠাতে হবে না।
এদিকে আজ ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।