বাংলা রাষ্ট্রভাষার কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা পায়নি-আ.ন.ম শামসুল ইসলাম( সাবেক এম,পি)
মুহাম্মদ হোসাইন মাসুম
স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৫২ সালে দেশের আপামর জনতা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম করেছে। আত্মদান করেছে। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরেও বলতে হচ্ছে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা পায়নি।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী সভাপতি মো. মুহিব্বুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য মহানগরী সহ-সভাপতি মিজানুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন টিম সদস্য নজরুল ইসলাম, উত্তরা মডেল থানা সভাপতি আবু হানিফ, তুরাগ থানা দক্ষিণের সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ, তুরাগ থানা উত্তরের সভাপতি আ. হালিম ও বিমানবন্দর থানা সভাপতি আবু সাঈদ মিন্টু প্রমুখ।
আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, ভাষা আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল এই জনপদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জাতীয় স্বাতন্ত্র, অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা। তৎকালীন শাসক মহল জনগণের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে চরম অবিবেচকপন্থা গ্রহণ করেছিল। তারা আমাদেরকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে চায়নি। এর মাধ্যমে তারা কর্মক্ষেত্রে বাংলাভাষাভাষী মানুষদের নিয়োগ না দেওয়ার জন্য এই কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দিয়েছিল এদেশের ছাত্র-আপামর জনতা। যাদের অধিকাংশই ছিল খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিক। তারা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য ঘাতকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত হয়েছিল রাজপথ। তবুও সেদিন শহিদের সাথীরা ঘরে ফিরে যায়নি। তারা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি আদায় করে ঘরে ফিরেছিল।
তিনি বলেন, আজকে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের প্রশাসন, শিক্ষা ও অফিস-আদালতে বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষায় বাংলা ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। দেশের উচ্চবিত্তরা ইংরেজি শিক্ষাকে বেছে নিচ্ছে। অপরদিকে দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হচ্ছে। ফলে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। আদালতে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। যা খুব দুঃখজনক। বাংলা ভাষা ব্যবহার না করে শহিদদের আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। তারা মনে করছে বিদেশি ভাষা শিক্ষা ও ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটি তাদের স্পষ্টত্ব ভুল ধারণা। দেশকে প্রকৃত অর্থে এগিয়ে নিতে হলে এ ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের মাতৃভাষা প্রাধান্য দিতে হবে। সর্বস্তরের অবিলম্বে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হবে। বাংলা ভাষা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এই জাতি আরও সামনে এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে মো. মুহিব্বুল্লাহ বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবী। যারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ আজ কর্মক্ষেত্র ও অফিস আদালতে তাদের উপর ইংরেজি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বেতন-ভাতা, কাজের চুক্তিপত্র ও অন্যান্য কাগজ ইংরেজিতে লেখার মাধ্যমে শ্রমিকদের অন্ধকারে ঢিল মারতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ শ্রমিকরা জানে না এসব কাগজে কি লেখা আছে। তারা না জেনে স্বাক্ষর করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে
সম্পর্কিত খবর
সর্বশেষ
- ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন
- রাজনগরের বিভিন্ন সড়কে উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষ রোপন
- অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ খাদ্যে নিষিদ্ধ রংয়ের ব্যবহার পাইকগাছায় আয়েশা বেকারির ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা
- রংপুরে তাহির হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে তুষার কান্তি মন্ডল
- ক্ষোভ প্রকাশ প্রতিবেদকের মনগড়া বক্তব্যের নিউজে
- র্যাব-১৪ এর পৃথক ০২(দুই) টি অভিযানে ০২(দুই) রাউন্ড বুলেটসহ ১ টি বিদেশি পিস্তল এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
- নতুন বছরে আসছে ভিন্ন ধরনের প্রেমের গল্প আন্ত:নগর
- তাড়াশে মারুফ হাসান নামের অপহৃত এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- নিয়তির নিমজ্জিত বিধাতার বিধান
- আজ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
- 💕💕মাতা-পিতার মৃত্যুর পর সন্তানের করণীয়❤❤
- জয়পুরহাটে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের মূল নির্ধারণ