নওগাঁর মহাদেবপুরে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বিশাল হিন্দু বাঘা মেলা পরিদর্শন করেন এমপি সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ১০ নং ভীমপুর ইউনিয়নের শিকারপুর মৌজার বেলি ব্রিজ শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী হিন্দুবাগার মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।আজ ভীম-একাদশী ৭ ই ফাল্গুন ২০শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার খেপি বসবেন ভূতনাথ বাবার ধামে ভক্তদের সেবা পারনের মধ্যে দিয়ে চাল-ডাল ও ভূগ-রাগ দিয়ে ভূতনাথ বাবার দর্শনকরে করেন এমপি সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এখানে উপস্থিত ছিলেন মহাদেবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অনুকূল চন্দ্র (বু্দু) অজিত চন্দ্র রায় , শ্রী বিশ্বজিৎ চন্দ্র বিশু মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ধলূসহ আওয়ামী লীগের ১০ নং ভীমপুর ইউনিয়নের মাটি ও মানুষের নেতা মোঃ ইনছের আলী মোল্লা পরপর একটানা ১০ নং ভীমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রী রামভদ্র বকুল আশেক এলাহী আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ কৃষকলীগ বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন । এই মেলার বিভিন্ন দোকান পাটে ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় কথা বলে । এবং ১০ ই ফাল্গুন ২৩ শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত সারে ৩ টায় সময় পূনীমা শুরু হবে আর দেবের দেব মহাদেব বাবার ৭টি নিখুঁত পাতিলে চূলীপূজার করে রান্না করতে হবে। ফল-মূল-গজার মাছ ভাজা-পোড়সহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের ৭ টি পারষ নিয়ে নিষি রাতে ভূতের রাজা দেবের দেব মহাদেব চেলা চামুন্ডাসহ তাদেরকে ঠেকে এনে সেবা দিতে হয়। এই মেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলা উপজেলা সহ দেশ- বিদেশ প্রত্যেক বাড়িতে জুড়ে।একাধিক সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচশ বছর পূর্ব থেকে স্থানীয় ভূতনাথ সন্ন্যাস পুজা উপলক্ষে নওগাঁ সদরে শেষ সীমানা ও মহাদেবপুর উপজেলার শেষ পূর্বধার দক্ষিণে, সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে সপ্তাব্যাপী ঐতিহ্যবাহী এই ভূতনাথ মেলা বসে। প্রতি বছর বাংলা সনের কখনো মাঘের মাসের শেষ অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ভীম-একাদশীতে মেলাটি হয়। এ মেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজে মেতে উঠে মেলার আশে পাশের রানীপুকুর শিকারপুর বলিহার ভীমপুর ফারাকপুর পয়না নিন্দয়ের মৈনম মনারপুর শ্যামপুর চৌমাশিয়া খদ্দনারায়ণপুর লক্ষ্মীপুর গনেশপুর গাজীপুর সহ গ্রামের সব মানুষ। তবে মেলাটি সপ্তাব্যাপী হলেও চলে প্রায় ২ সপ্তাহ পর্যন্ত। এ মেলায় পূনীমা দিবাগত রাতে-গজার মাছের ভোগদিয়ে ভক্ত সেবা লোকজনের সমাগম ঘটে। ঈদ বা অন্য কোন উৎসবে জামাই মেয়েদের কিংবা নিকট আত্মীয়দের দাওয়াত না দিলেও চলে কিন্তু হিন্দুবাগা মেলায় সবাইকে নিমন্ত্রণ ও দাওয়াত দিয়ে ধুমধাম করে খাওয়াতে হয় যা এখন কিনা সব ধরনের আত্মীয়-স্বজনদের উৎসবের দিন হিসেবে এই মেলাকে ঘিরে।প্রায় নিজ বাড়িতে মুড়ি ভাজা, নাড়কেলের নাড়ু জিলাপিসহ বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি এবং মুখ রুচি কর খাবার তৈরী শুরু করে। ইতিমধ্যে আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। মেলার স্থান এলাকায় হলেও মেলাটি ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্নস্থানে। এই মেলাকে ঘিড়ে মেলা বসে । আশপাশের বিভিন্নস্থানে। প্রতিবছরের মতো এবারের মেলারও মূল আকর্ষণ হলো দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ।এছাড়াও মেলায় পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি,কাঠের তৈরি আসবাব পত্র,ছোট এবং বড়দের অনেক রকমের খেলনা,নানান রকম আচার সহপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র।
নওগাঁ।
সম্পর্কিত খবর
সর্বশেষ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘন ঘন লোডসেটিং অতিষ্ঠ জনজীবন
- নওগাঁয় পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
- কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
- নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের ইন্তেকাল
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত
- ময়মনসিংহে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত
- নতুন বছরে আসছে ভিন্ন ধরনের প্রেমের গল্প আন্ত:নগর
- তাড়াশে মারুফ হাসান নামের অপহৃত এক মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
- নিয়তির নিমজ্জিত বিধাতার বিধান
- আজ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
- 💕💕মাতা-পিতার মৃত্যুর পর সন্তানের করণীয়❤❤
- জয়পুরহাটে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পণ্যের মূল নির্ধারণ